চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত নড়াইল সদর উপজেলা নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহ উপজেলা। জেলা সদরে অবস্থিত ৩৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট সদর উপজেলাটি ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলার উত্তরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা, দক্ষিণে- যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা, পূর্বে- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা, পশ্চিমে- যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলা অবস্থিত । প্রশাসনিক কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৮৬১ সালে গঠিত নড়াইল মহকুমা সদর এ উপজেলা পশ্চিম মহিষখোলা মৌজায় স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে নড়াইল জেলা গঠনের পর একই সালে নড়াইল সদর উপজেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
ঐতিহাসিক দিক দিয়ে নড়াইল সদর উপজেলঅ একটি প্রাচীন জনপদ। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আন্দোলন সংগ্রামে এ অঞ্চলের রয়েছে এক গৌরবময় অতীত ইতিহাস। বাংলার পাল ও সেন রাজাদের আমলে বাগাড়িভূক্তি নামে যে প্রদেশ ছিল তার রাজধানী ছিল নড়াইল সদর উপজেলার অন্তর্গত শঙ্খনাট বা শেখহাটি। ব্রিটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত নড়াইলের জমিদারদের প্রাসাদোপম বাড়ী সদর উপজেলার নড়াইল মৌজায় অবস্থিত। তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত এ উপজেলায় এবঙ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ যেমন- হেমন্ত সরকার, মোদাচ্ছের মুন্সী, নূর জালাল, কমরেট আমল সেন, স্বরলা বিশ্বাস, সৈয়দ নওশের আলী প্রমূখ সদর উপজেলার কৃতি সন্তান। ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ১০ ডিসেম্বর এ উপজেলা মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ন্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সদর উপজেলার মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রশিল্পী এস, এম সুলতান নড়াইলের গর্ব। এছাড়া কবিয়াল বিজয় সরকার, জারী সম্রাট মোসলেম উদ্দীন প্রমুখ এ উপজেলার কৃতি সন্তান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস